মানিকচক

ভোট দিয়েও ঠকে যাচ্ছেন ভাঙন কবলিত মানুষ!

 

ভোট দিয়েও ঠকতে হচ্ছে গঙ্গা ভাঙনে ভিটেমাটি হারাদের। ভোট আসলেই পাওয়া যাচ্ছে ঝুলি ভরা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ভোটের সময়ে নেতা মন্ত্রীরা হাত-পা ধরে ভোট চাইছেন। ভোট মিটলেই সব প্রতিশ্রুতি ভুলে যাচ্ছেন। এমনই করুণ অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুর চর এলাকার প্রায় পাঁচ-শো পরিবার।

    ভোট আসে ভোট যায় আমাদের কিছুই হয় না। এমনই আক্ষেপ শোনা গেল মালদার মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুরচর এলাকার জমি হারাদের গলায়। নারায়ণপুরচর এলাকার প্রায় পাঁচ শো পরিবার গঙ্গা ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে মানিকচক গঙ্গাঘাট সংলগ্ন এলাকায় খড়কুটো দিয়ে ঘর করে থাকছে। কেউবা খোলা আকাশের নিচে। রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য উপরে শুধু ত্রিপল। ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অতি কষ্টে দিন গুজরান করতে হচ্ছে। থাকার ঠাঁই তো দূরের কথা তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থাও নেই। পানীয় জল হিসাবে গঙ্গার জল পান করেন। খোলা জায়গায় মাঠে ঘাটে শৌচ কর্ম করতে হয়। তাতেও কপালে জোটে জমি মালিকদের গালমন্দ। ভোট আসবে ভোট যাবে। সরকার গঠন হবে। কিন্তু এই জমি হারাদের কি কিছু হবে না উঠছে প্রশ্ন ?

    ভিটেমাটি হারা অস্থায়ী বাসিন্দাদের অভিযোগ, 'সরকার আমাদের ঠকাচ্ছে। ভোট আসছে ভোট যাচ্ছে। আমাদের জন্য কেউই কিছু করছে না। শৌচালয় পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। পানীয় জল হিসাবে নদীর জল খাওয়ায় বিভিন্ন রোগ হচ্ছে আমাদের। হাতে পায়ে ধরে ভোট চাইছে সকল রাজনৈতিক দল। ঝুলি ভরে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ভোট শেষ হয়ে গেলে আমাদের জন্য কিছুই করছে না। আমাদেরকে শুধু ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। পুনর্বাসন তো দূরের কথা শৌচালয়, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ও ব্যবস্থা করেনি আমাদের জন্য। নারায়ণপুর চরে গঙ্গা ভাঙনে আমাদের ভিটেমাটির সব গঙ্গাবক্ষে। আমরা প্রায় পাঁচশো পরিবার মানিকচক ঘাটে নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছি। সরকার আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক।

 

    এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর। বিজেপি নেতা গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূল বোকা বানিয়ে শুধু ভোট নিয়েছে, কিন্তু কেন্দ্র এখানে যা টাকা পাঠায় তাই লুট করে তৃণমূল। কাজ তো দুরের কথা।

 

    এই বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা ইমরান হাসান বলেন, গঙ্গা ভাঙন জাতীয় স্তরের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার ফিরেও দেখে না। ম্যাডাম সাবিত্রী মিত্র নিজে দায়িত্বে অনেককে পাট্টা প্রদান করেছেন। যা করেছেন তিনিই করেছেন। কেন্দ্র সরকার তো টাকাই দেয় না।